বিখ্যাত পাঁচটি ভৌতিক জায়গা- সাহস থাকলে ঘুরে আসতে পারেন আপনিও | Rahasyo Goyenda Vhut

পৃথিবীতে ভূত বলে আদৌ কোনো কিছু অস্তিত্ব আছে নাকি তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তারপরেও ভূতের ভয় নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিজ্ঞান কখনই ভূতের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। তারপরেও মানুষ ভূতে ভয় পায়, কেউ কেউ তো আবার নিজে ভূত দেখেছে বলেও দাবি করে থাকে।
কখনো কি এমন জায়গায় গিয়েছেন যেখানে গেলে গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যায়? গ্রাম্য এলাকার বাঁশ বাগান, ঝোপ-ঝাড়, পুরনো বাড়িগুলোতে রাতের বেলা একা একা গেলে এরকম অনুভূতি হয়।
পৃথিবী বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে গেলে ভয়ে আপনার গা ছমছম করে উঠবে। কারণ এই জায়গাগুলোতে ভূতের দেখা মেলে বলে শোনা যায়। তেমনি কয়েকটি জায়গার কথা আজ আপনাদের জানাবো।

১. বোরলে রেকটরিঃ এই জায়গাটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভৌতিক জায়গা হিসেবে পরিচিত। বোরলে রেকটরি নামের এই জায়গাটি যুক্তরাজ্যের বোরলে গ্রামে অবস্থিত। ১৮৬৩ সালে Reverend Henry dawson Ellis Bull এর জন্য এটি নির্মান করা হয়। এখানে নুনকে হাটতে দেখা যায় যাকে পেট্রোল দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল।
এটি নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে যে, নুন বোরলে সম্প্রদায়ের এক সন্ন্যাসিনীর প্রেমে পড়েন। দু’জনে চেয়েছিলেন পালিয়ে যেতে কিন্তু তার আগেই তারা ধরা পড়ে যায়। সন্ন্যাসীনীকে বধ করা হয় আর নুনকে পুড়িয়ে মারা হয় এই ভবনে।

২. স্ট্যানলি হোটেলঃ সারা পৃথিবীতে ভূতের অসংখ্য গল্প রয়েছে। স্টিফেন কিং এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত The Shining হরর মুভি এগুলোর একটি। বইটি লেখার ক্ষেত্রে তাঁকে অনুপ্রানিত করেছিল স্ট্যানলি হোটেল। হোটেলটি কলোরাডোর এস্টেস পার্কে অবস্থিত। তিনি যখন এই হোটেলের ২১৭ নাম্বার রুমে অবস্থান করেন তখন নিজেই অনেক ভৌতিক ঘটনা অবলোকন করেন।
তিনি মাঝেমাঝে শুনতে পেতেন ভূতের ছেলেরা পাশের রুমে খেলা করছে। অনেক আত্মা ওখানে ঘুরে বেড়াতো। যখন গেস্ট আসতো তারা দেখতে পেত পিয়ানোর কী-গুলো নিজে নিজে মুভ হচ্ছে আর মিউজিক বাজছে। এই সকল ভৌতিক ঘটনা যারা দেখতো তাদের জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হত।

৩. টাওয়ার অব লন্ডনঃ লন্ডনের অনেক বিখ্যাত ভৌতিক স্থান ‘টাওয়ার অব লন্ডন”। ১৫৩৬ সালে হেনরি VIII এর একজন স্ত্রীকে এই টাওয়ারে শিরচ্ছেদ করা হয়। তারপর থেকে ঐ স্ত্রীলোকের আত্মাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত। মাঝে মাঝে তিনি তার খণ্ডিত মাথা হাতে নিয়ে টাওয়ার গ্রীন এবং টাওয়ার চাপেল রয়েলে হাটতেন।

৪. উডচেস্টার ম্যানশনঃ ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারে অবস্থিত উডচেস্টার ম্যানশনটির ভৌতিক বাড়ি হিসেবে খ্যাতি আছে। দালানটির নির্মান কাজ অসম্পন্ন অবস্থায় আছে। গত ২০০ বছর আগে এটির কাজ করা হয়েছিল শেষ বারেব মত।
গুজব আছে এখানে যারা কাজ করতে আসে তারা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারা যায়। অদ্ভুত নাকের শব্দ পাওয়া যায়, নির্মান কাজের শব্দের মত শব্দ পাওয়া যায়, রোমান সৈন্য এবং যুবতী মেয়েদের দেখতে পাওয়া যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

৫. প্যারিসের কাটাকম্ব: প্যারিসের কাটাকম্ব ফ্রান্সের প্যারিসের একটি আণ্ডারগ্রাউন্ড অসারি, যেখানে মরা মানুষের মাথার খুলি, কঙ্কাল রাখা হয়। ১৭০০ সালের মাঝামাঝিতে এটি নির্মান করা হয়।
যারা কমপক্ষে ৩০ বছর আগে মারা গেছে তাদের খুলি এখানে সংরক্ষন করা হয়। কথিত আছে, এখানকার খুলি, হাড়গুলো রাতের বেলা নিজে নিজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার যাতায়ার করে বলে।

Disqus Comments